১. সাধারন গর্ভকালীন মহিলাদের চিকিৎসা পরামর্শ, ঝুকিপূর্ন গর্ভ এবং গর্ভ পরবর্তী জটিলতার চিকিৎসা।
২.ঝুকিপূর্ন গর্ভ কী ? কখন আপনি স্ত্রী ও ধাত্রী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন ? - বয়স ২০ বছরের কম অথবা ৩৫ বছর বা তার বেশি,সন্তান জন্মসংখ্যা ০৫ বা তার বেশি, ০২ জন সন্তানের মধ্যে জন্মের ব্যবধান ০২ বছরের কম, মায়ের উচ্চতা ১৪৫ সেঃমিঃ ( ০৪ ফুট ১০ ইঞ্চি) বা তার কম, পূর্বের গর্ভকালীন জটিলতা, প্রসবের আগে বা পরে রক্তপাত, দীর্ঘ প্রসবকালীন সময় (লেবারপাইন ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে), বাধাপ্রাপ্ত প্রসব (যে কোনো জটিলতার কারনে জরায়ু থেকে বাচ্চা বের করা কঠিন হয়), পূর্বের সিজার হওয়া, জরায়ুর ভিতর গর্ভফুল বা প্লাসেন্টা থেকে যাওয়া, মৃত সন্তান প্রসব করা/ ৪৮ ঘন্তার মধ্যে নবজাতক মারা যাওয়া, পা বা সমস্ত শরীর বেশি রকম ফোলা, খিচুনি সহ বারবার অজ্ঞান হওয়া, অতীতে প্রসবের পর ফিস্টুলা অপারেশন, জমজ সন্তান, ভ্রূনের অস্বাভাবিক অবস্থান (ব্রীচ - বাচ্চার নিতম্ব জরায়ু মুখ বরাবর থাকা)।
৩. জটিল গর্ভ কী ? কখন আপনি স্ত্রী ও ধাত্রী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন ? - রক্তশূন্যতা, পা ফোলা, গর্ভকালীন যে কোনো সময় রক্তপাত হওয়া, যে কোনো কারনে শ্বাসকষ্ট হওয়া, পেটের আকার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া, ভ্রূনের অস্বাভাবিক অবস্থান, উচ্চ রক্তচাপ (১৪০/৯০ মিঃমিঃ বা তার চাইতে বেশি রক্তচাপ), গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, প্রসাবের সাথে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় এল্বুমিন যাওয়া।
৪. গর্ভবতী মায়েদের জন্য পরামর্শঃ ঔষধ নিয়মিত খাবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। কারন গর্ভকালীন প্রথম ০৩ মাস সময়ে গর্ভকালীন নিরাপদ ঔষধ ছাড়া যে কোন ঔষধ সেবন গর্ভকালীন শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৫. অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবেন, কমপক্ষে এক্মুঠো চালের ভাত এক কাপ ডাল বেশি খেতে হবে প্রতি বেলায়, মা কে বেশি পরিমান পানি পান করতে হবে, আয়রন সম্মৃদ্ধ খাবার কচু শাক/লাল শাক, ভিটামিন সম্মৃদ্ধ ফলমূল আম/কাম/কলা।
৬. বাচ্চার নড়াচড়া খেয়াল করতে হবে, নড়াচড়া কম মনে হলে ধাত্রী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আল্ট্রাসনো প্রেগ্নেন্সি প্রোফাইল ফিটাল ডপলার, সি.টি.জি. ইত্যাদির মাধ্যমে গর্ভস্থ বাচ্চার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. ভারী কাজ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ।
৮. দুপুরে ০২ ঘন্টা বিশ্রামে থাকবেন।
৯. গর্ভাবস্থায় ০৫ টি বিপদজনক চিহ্ন থাকলে অবশ্যি হাসপাতালে আসবেন। প্রসবপথে রক্তক্ষরন, প্রচন্ড মাথা ব্যথা ও বমি, ভীষন জ্বর, ক্ষীচুনী হওয়া, পানি ভাঙ্গা সেইসাথে ১২ ঘন্টার অধিক সময় পার হোলেও প্রসব না হওয়া।
১০. সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার চেষ্টা করা।
১১. টিটেনাস টিকা নেওয়া যা মা ও শিশুকে ধনুষ্টংকার থেকে রক্ষা করবে।